১৮০০ সালের শুরুর দিকে বিশ্বের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১০০ কোটি। বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় ৭০০ কোটি লোক বসবাস করে। অর্থাৎ ২০০ বছরে বিশ্বে জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৬০০ কোটি। ২০১১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা হয় ১৪ কোটি ৯৭ লক্ষ ৭২ হাজার ৩৬৪ জন। ১৯৭০ সালে জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৭ কোটি ৬০ লক্ষ। ৪০ বছরে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা (প্রায়) | |
বছর | জনসংখ্যা |
১৯৬১ | ৫ কোটি ৫২ লক্ষ |
১৯৭৪ | ৭ কোটি ৬৪ লক্ষ |
১৯৮১ | ৮ কোটি ৯৯ লক্ষ |
১৯৯১ | ১২ কোটি ১৪ লক্ষ |
২০০১ | ১২ কোটি ৯৩ লক্ষ |
২০১১ | ১৪ কোটি ৯৭ লক্ষ |
জনসংখ্যার ঘনত্ব হলো প্রতি একক জায়গায় বসবাসরত মোট লোকসংখ্যা। মোট জনসংখ্যাকে ক্ষেত্রফল দ্বারা ভাগ করে খুব সহজেই জনসংখ্যার ঘনত্ব পাওয়া যায়। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি।
বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব কত?
১. বাংলাদেশের ক্ষেত্রফল ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার। উপরের ছক অনুযায়ী, বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব নির্ণয় করি।
২. সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করে কাজটি সম্পন্ন করি।
প্রশ্ন : যদি জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় তাহলে আমাদের কী ঘটবে?
কাজ : আমাদের কী প্রয়োজন?
কী করতে হবে :
১. নিচে দেখানো ছকের মতো খাতায় একটি ছক তৈরি করি।
বাড়তি জনসংখ্যার জন্য আমাদের আরও কী প্রয়োজন |
---|
২. যদি জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় তাহলে আমাদের আরও কী প্রয়োজন হবে ছকে তার একটি তালিকা তৈরি করি ।
৩. কাজটি নিয়ে সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করি।
জনসংখ্যা যত বৃদ্ধি পাবে মানুষের চাহিদাও তত বাড়বে। এতে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর চাপ বাড়বে। বাড়তি চাহিদা আমাদের জীবনে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান এবং ভূমি ইত্যাদির ঘাটতি দেখা দেবে। মানুষ সহজেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবে। কারণ জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি হলে জীবাণু দ্রুত ছড়ায়। চিকিৎসা এবং শিক্ষার সুযোগ কমে যেতে পারে। ব্যবহারের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমাণ কমে যেতে পারে।
আরও দেখুন...